শেরপুরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার -৬
স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল হালিম জীবন (৪৮) হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত জীবন শেরপুর শহরের মধ্য নওহাটা এলাকার সাইদুর রহমান ওরফে সুরুজ মাস্টারের ছেলে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেসব্রিফিং করেন শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম সেবা। আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এ প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম সেবা বলেন,
আব্দুল হালিম জীবন ১৫/১৬ বছর আগে ডিভি লটারিতে নাগরিকত্ব পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। পরে বিয়ে করে স্ত্রীকেও যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান। বছর দুয়েক আগে তিনি শেরপুরে এসে আর যুক্তরাষ্ট্র ফেরত যাননি।
সম্প্রতি তিনি শেরপুর শহরের চাপাতলী এলাকায় আতিয়া আক্তার নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী বিদেশেই রয়েছেন। নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আতিয়া আক্তার বলেন, গতকাল শনিবার দুপুরে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফসহ কয়েকজন জীবনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ভোরে চুনিয়ারচর এলাকা থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে আব্দুর রউফ আতিয়ার স্বামীকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন মামলা–মোকদ্দমা ও ঝামেলায় জড়িয়েছে। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই রউফসহ তাঁর চক্রের লোকজন জীবনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’ এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আতিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, শেরপুর সদর উপজেলার জঙ্গলদী গ্রামের মোঃ ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রউফ মিয়া, (৪৫), ডাকপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে মোবারক ওরফে মুস্তাক (৩২), ফারুক আহমেদের স্ত্রী রুপা বেগম (২৮), কান্দাপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪০), আফিল উদ্দিনের ছেলে রাকিব হোসেন (২০) ও হযরত আলীর ছেলে কালো মিয়া (২৫)। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় আটকরা প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।