শ্রীবরদীতে মসজিদের চাঁদা নিয়ে সংর্ঘষে নিহত ১ : প্রতিপক্ষের আগুনে আসামী পক্ষের বসতবাড়ি ভষ্মীভূত
0
শ্রীবরদী(শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের শ্রীবরদীতে মসজিদের চাদা আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে শ্রমিক দলের নেতা লিটন মিয়া (৫১) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৪ আগস্ট দুপুরে উপজেলা রাণীশিমুল ইউনিয়নের মালাকোচা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন মিয়া মালাকোচা গ্রামের মো. নুরল ইসলামের ছেলে। তিনি জাতীয় শ্রমিক দলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আহতরা হলো মালাকোচা গ্রামের নুরল ইসলামের ছেলে আ: রহমান (৬০), মো. শরিফুল ইসলাম (৪০), তোতা মিয়া, মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে মো. নয়ন (৪), আশরাফুলের স্ত্রী মোছা. শিউলী (৩৩)। লিটন মিয়ার নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৪ আগস্ট রাতে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন ওরফে সিরের বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আলতাফ হোসেন সিরে স্থানীয় মসজিদের সভাপতি। তিনি লিটনসহ তার পরিবারের নিকট মসজিদের উন্নয়নের জন্য চাদা চাইলে লিটন মিয়ারা কম টাকা চাদা দেয়, এ নিয়ে মনোমালিন্য ও বিবাদের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৪ আগস্ট দুপুরে আলতাফ হোসেন সিরে তার লোকজন নিয়ে লিটন মিয়ার উপর হামলা চালায় এসময় লিটন সহ আরো ৪জন গুরুতর আহত হয়। পরে লিটন ও শরিফুল ইসলামকে ময়মনসিংহ, ও অন্যান্য আহতদেরকে শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় লিটন মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এদিকে লিটন মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ পেলে আলতাফ হোসেন সিরে ও তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এ সুযোগে প্রতিপক্ষরা আলতাফ হোসেন সিরের বাড়িতে অগ্নিংসযোগ ও লুটপাতের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত লিটন মিয়ার বড় ভাই তোতা মিয়া বাদী হয়ে আলতাফ হোসেন সিরে সহ ২৩জনের নাম উল্লেখ ২০-২২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই তোতা মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আলতাফ হোসেনে সিরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।