সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় চিড়িয়াখানা হতে পারে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সিলেট মহানগরে কোনো ফুসফুস নেই। খালি জায়গা বা পার্ক নেই। চলতি বছরের মধ্যে ৪৬ একর জায়গা (বর্তমান কেন্দ্রীয় কারাগার) খালি হবে। সেখানে ৩টি পুকুর (দিঘি) রয়েছে। এই পুকুরগুলো আমাদের পরিবেশের জন্যই সংরক্ষণ করতে হবে। একটি পুকুরকে কেদ্র করে একটি মিনি চিড়িয়াখানা করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের রেজিস্ট্রি মাঠে পক্ষকালব্যাপী বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সিলেটের মানুষ ও এখানে আগত পর্যটকগণ এই চিড়িয়াখানাকে ফুসফুস তথা বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। তাই, সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এখন আমাদের আচরণের পরিবর্তন হয়েছে। গাছকাটাসহ পরিবেশ ধ্বংসকারী কর্মকাণ্ড থেকে মানুষ সচেতনভাবে সরে এসেছে। এতে করে বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মোট জমির ৯ শতাংশ বনভূমি ছিল। অনেকে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন, ১৫ কোটি মানুষের এই দেশে বনাঞ্চল বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সেই ভবিষ্যত বাণী ব্যর্থ করে দিয়ে আমরা ইতিমধ্যে ১৭ শতাংশে পৌঁছেছি।’
জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দীন আহমদ, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ।
এর আগে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। পরে রেজিস্ট্রি মাঠে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেলুন উড়িয়ে ফিতা কেটে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন।
মেলায় ৪০ স্টল অংশগ্রহণ করেছে। পক্ষকালব্যাপি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শণার্থীরা বিনা টিকিটে বৃক্ষমেলা ঘুরে দেখতে পারবেন।