ঝিনাইগাতীতে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আঙ্গুলের হাড় ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের হলদীবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়।
আহত শিক্ষার্থীর নাম রাকিবুল হাসান(১৪)। রাকিবুল হলদীবাটা মেইলগেইট এলাকার ছামিউলের ছেলে এবং হলদীবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাএ ।
অভিযুক্ত শিক্ষক জুবাইদুল হক হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক( বিএসসি) হিসেবে কর্মরত ।
ঘটনাটি ঘটে ২৩ জুলাই রবিবার উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের হলদীবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। আহত রাকিবুল জানায়, ঘটনার দিন অংক লিখে নিয়ে মাদ্রাসায় না আসায় মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক জুবাইদুল লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার ডান হাতের আঙ্গুলের হাড় ভেঙ্গে দেয়। পরে রাকিবুলের বাবা ছামিউল ব্যাথানাশক ওষধ খাওয়ায় রাকিবুলকে। কিন্তু এতে ব্যথা না কমলে এক্সরে করা হলে ডান হাতের আঙ্গুলের হাড় ভাঙ্গা ধরা পড়ে। বর্তমানে রাকিবুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে শিক্ষক জুবাইদুলের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি ।
এছাড়াও শিক্ষক জুবাইদুলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা অভিয়োগ রয়েছে। জানা যায় ঝিনাইগাতী উপজেলায় এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠান হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় ২০০৪ সালে মো. জুবাইদুল হক বিএসসি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ওই মাদরাসায় যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান ফাকি দিয়ে অনত্র ক্লাশ নেওয়া , প্রাইভেট/কোচিং বানিজ্য, মাদরাসার সময় ফাকি দিয়ে অন্য EIIN যুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে । হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার আশপাশের এলাকাবাসী অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার ওই শিক্ষকের ভগ্নিপতি হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি এসব অনিয়ম করে আসছেন । ঝিনাইগাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফার কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিকবার অভিযোগও হয়েছিল ।
গৌরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম পলাশ জানান ঘটনাটি মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার সুলতান আহম্মেদ বলেন বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে। এই বিষয়ে লেখালেখি না করাই ভালো।
ঝিনাইগাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ,বারবার ফোন রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।