বিজয় দিবসের জন্য প্রস্তুত স্মৃতিসৌধ
জাতীয় ডেস্ক: ৪৫তম মহান বিজয় দিবস শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর)। জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এদিন দেশের সূর্য সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে পুরো জাতি। এ উপলক্ষে টানা ১০ দিন ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। শহীদ বেদি থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থাপনাসহ সকল জায়গায় পড়েছে রং তুলির আঁচড়। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০ হাজার ফুলের চারা।
জাতির গৌরব আর অহঙ্কারের এদিনটিতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদি। দিবসটির প্রথম প্রহরেই জাতির বীর সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাদের শ্রদ্ধা জানানো শেষ হলেই সর্বস্তরের মানুষের জন্য সৌধের ফটক খুলে দেওয়া হবে।
বিজয়দিবসের প্রস্তুতি বিষয়ে সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, ৪৫তম বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য গত ০৬ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা গত ১০ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নতুন রূপ দিয়েছে সৌধ প্রাঙ্গণকে। সৌধচত্বর ঢেকে ফেলা হয়েছে নানা রঙের ফুল দিয়ে। চত্বরের সিঁড়িসহ নানা স্থাপনায় পড়েছে রংতুলির আঁচড়।
তিনি আরও জানান, বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। এরইমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার এর মহড়া শেষ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তাচৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ শফিউর মিজানুর রহমান জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে তিন হাজার পুলিশ সদস্যের নজরদারি বাড়নোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধের চারপাশের বাড়িঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহিরাগতদের আনাগোনা। প্রতিটি ছাদেই রয়েছে পুলিশ প্রহরা। এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে একাধিক পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)