ঝিনাইগাতীর হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যানের কান্ড
মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী ঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (দুলা ফরেস্টার) এর কথামত না চলার কারণে তারই অধিনস্থ এক ইউপি সদস্যেকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে বাড়ী ছাড়া করেছেন। ফলে বর্তমানে ওই চেয়ারম্যান ও তার ছেলে তমালের ভয়ে ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আক্তার হোসেন প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেরপুরের জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোছাঃ আয়শা সিদ্দিকা রুপালীর দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র ক্রয় ও দাখিল করেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (দুলা ফরেস্টার) আয়শা সিদ্দিকা রুপালীর এ প্রার্থীতা মেনে নিতে না পেরে ওই চেয়ারম্যানের মদদপুষ্ট ও প্রতিবেশী জাহানারা বেগমের নামে মনোনয়ন পত্র নিজেই ক্রয় করে সমর্থনকারীর স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গত ৪ডিসেম্বর শনিবার মনোনয়পত্র বাঁছায়ের সময় জাহানারা বেগম সহ তার প্রস্তাবকারী অনুপস্থিত থাকে। অন্যদিকে একই সময়ে জাহানারা বেগমের মনোনয় পত্রে দাখিলকৃত সমর্থনকারী আক্তার হোসেন স্বশরীরে হাজির হয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার বরাবর আবেদনের মাধ্যমে জানান যে, মনোনয়ন পত্রে দেওয়া স্বাক্ষর তার নহে। জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ডাঃ এ,এম,পারভেজ রহিম এর সত্যতা পেয়ে উপস্থিত অন্যান্য সকল প্রার্থীদের সন্মুখে জাহানারা বেগমের মনোনয়ন পত্র বাতিল ও আয়শা সিদ্দিকা রুপালীর মনোনয়ন পত্রটি বৈধ ঘোষনা করে প্রত্যায়ন পত্র দেন। পরে আয়শা সিদ্দিকা রুপালীকে ঠেকাতে না পেরে একদিকে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আপিল করেন অন্যদিকে স্থানীয় এক অন-লাইন পত্রিকায় গত ৬ডিসেম্বর জৈনক এক সংবাদ কর্মিকে দিয়ে আয়শা সিদ্দিকা রুপালীকে জড়িয়ে “জেলা পরিষদ নির্বচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর সমর্থনকারী নিখোঁজ” শিরোনামে একটি ভানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদে ৪ডিসেম্বরকে শনিবারকে উল্লেখ করে শুক্রবার এবং ৪ডিসেম্বর থেকেই নাকি ওই মেম্বার নিখোঁজ, তাহলে রির্টানিং কর্মকর্তার সামনে হাজির ছিল কোন্ মেম্বার আর স্বাক্ষর জালের অভিযোগই বা করলো কোন্ মেম্বার। এছাড়া আক্তার নিখোঁজ হলে থানায় পরিবারের পক্ষে সাধারণ ডাইরী হওয়ার কথা, এ ক্ষেত্রে তার পরিবারই জানেনা যে আক্তার নিখোঁজ। এ ধরণের একটি ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের পর এলাকাবাসী ওই রির্পোটার ও চেয়ারম্যানের এহেন কর্মকান্ডের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এ ব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (দুলা ফরেস্টার) ও তার ছেলে তমাল আমার বাড়ীতে গিয়ে আমাকে ও আমার পরিবাকে খুন-জখমের হুমকী দেওয়ায় আমি প্রাণের ভয়ে আমার আত্মীয়র বাড়ীতে লোকিয়ে রয়েছি, রুপালীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান যা করছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওয়ার্ড মেম্বার আক্তারের বৃদ্ধা মাতা বেদেনা বেওয়া, স্ত্রী মিনারা বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান, চেয়ারম্যানের ভয়েই আক্তার মেম্বার লোকিয়ে রয়েছে এ ব্যাপারে রুপালীর কোন দোষ নেই। হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (দুলা ফরেস্টার) তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা আ’লীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের প্রার্থী মোছাঃ আয়শা সিদ্দিকা রুপালী এ ধরণের ঘুণিত কাজের নিন্দা জানান।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)