নকলায় অধ্যক্ষকে স্থায়ী অপসারণ সহ শাস্তির দাবি
মো: মোশারফ হোসেন, নকলা (শেরপুর):
শেরপুরের নকলায় বিবিরচর রহমানিয়া ফাযিল মাদরাসার সাময়ীক বরখাস্থকৃত অধ্যক্ষ মো: আবু বক্কর সিদ্দিক কে চূড়ান্ত অপসারণ সহ তার শাস্থির দাবি করেছেন ওই মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীরা। সুনির্দিষ্ট ১৩ টি অভিযোগ এনে ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কর্মকর্তাদের নিকট ৩ ডিসেম্ভর বিকালে তদন্ত চলাকালে শিক্ষকরা লিখিত ভাবে তার অপসারণ দাবি করেন। জানাগেছে মাদরাসার সকল অর্থ আত্মসাৎ করা, ৭/৮ বছর যাবৎ মাদরাসা ভবনে কোন মিটিং না করা, মাদরাসরা জমির ফসল আত্মসাৎ করা, কোন হিসাব নিকাশের তুয়াক্কা না করা, কমিটির সভাপতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সকল সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে মনগড়া রেজুলেশন করে শিক্ষক কর্মচারীদের হয়রানি করা, গত ইদুল আযহার বোনাস সহ আজ পর্যন্ত শিক্ষকদের সরকারী অংশের বেতন ভাতা তোলতে না দেওয়া, মাউশি প্রেরিত এমপিও অনুসারে বেতন বিল না করে মনগড়া বেতন তৈরী করে তাতে সভাপতিকে স্বাক্ষর করতে চাপ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে গত মাসের ১১ তরিখে গভর্নিং বডির সদস্যের সর্ব সম্মতি ক্রমে অধ্যক্ষকে সাময়ীকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এবিষয়ে ওই মাদরাসার সভাপতি এডভোকেট একেএম আকরাম হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: আব্দুল আজিজ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা বিবেচনা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। এবং শিক্ষকদের বেতন উত্তোলনের জন্য বেতন কপি তৈরী করে সোনালী ব্যাংক নকলা শাখায় জমা দিলে সেখানেও গিয়ে শিক্ষকদের বেতন না দিতে ব্যাবস্থাপকের কাছে আবেদন করে ওই অধ্যক্ষ। আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপক গোলাম মো: সাদী এহেন অবস্থায় শিক্ষকদের বেতন ছাড় না দিয়ে, ইমলামি আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়-ঢাকায় এই অবস্থার সুরাহা চেয়ে চিঠি লেখেন। সেই চিঠির জবাব দিতেই বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল ৩ ডিসেম্ভর অর্ধ দিন ব্যপী মাদরাসায় তদন্ত করেন। তদন্ত চলাকালে সকল শিক্ষকরা ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ১৩ টি অভিযোগ উল্ল্যেখ করে শিক্ষক কর্মচারীর স্বাক্ষরিত আবেদনে সাময়ীক বরখাস্ত কৃত অধ্যক্ষের স্থায়ী অপসারণ দাবি করেন এবং তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন তারা। শিক্ষকরা বলেন আমরা বেতন ছাড়া আর কিছুই চাইনা। এমন মানবিক আবেদনের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, শিক্ষকরা যাতেকরে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেতন ভাতা উত্তোলণ করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অধ্যক্ষকের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি।