ঝিনাইগাতীতে দুরারোগ্যব্যাধি থেকে বাঁচতে সহযোগিতা চান শাহীন
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৪৭ বছর বয়সী মো. আসাদুজাজামান শাহীনের জীবন বাঁচাতে সমাজের অর্থবান ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। অসুস্থ্য শাহীন উপজেলার বনকালী গ্রামের মোশারফ হোসেন খাঁনের ছেলে।
শাহিনের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, অভাব, অনটন আর দু:খ দুর্দশা থাকলেও শাহীনের জীবন ভালই চলছিল। গত ৮ মাস আগে শাহীন হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় শাহীন ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হলে তার লিভার, কিডনী ও যক্ষা রোগ ধরা পড়ে। এমতাবস্থায় ঝিনাইগাতী হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে শাহীন জানতে পারে তার দুটি কিডনিও খারাপ হয়ে গেছে। শাহীনের শারিরীক অবস্থার পুরো খবর জানতে পেরে স্ত্রী ফাতেমা স্বামীকে রেখে হাসপাতাল থেকেই পালিয়ে যায়। স্ত্রী চলে যাওয়ায় শাহীন হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ একা। এ অবস্থায় শাহীন একাকী চিকিৎসার খরচ সহ অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে বাড়ীতে চলে আসেন। বাড়ীতে আসার পর শাহীনের বৃদ্ধ বাবা মোশারফ হোসেন খাঁন তার চিকিৎসার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন।
বর্তমানে স্থানীয় ব্র্যাক অফিস থেকে যক্ষা রোগের ঔষধ সরবরাহ করলেও কিডনী ও লিভারের ব্যথা কমানোর মতো ঔষধ কেনার টাকাও আজ তাদের কাছে নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কিডনি আর লিভারের ব্যথায় ছটফট করলেও ব্যথা কমানোর জন্য যে ঔষধ কিনবে, সে টাকাটাও তাদের নেই। শাহীন আজ বেঁচে থেকেও মৃত্যেুর যন্ত্রণা নিয়ে ধুকেধুকে মৃত্যেুর প্রহর গুনছে। এর পরেও এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে কে না চায়? তাই জীবনের এই কঠিন যন্ত্রণাময় মুহূর্তে সমাজের ধনবান ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। দেশে কিংবা বিদেশের কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি শাহীনকে সহযোগীতা করতে চান, তাহলে তার ব্যক্তগত মোবাইল – ০১৮২১-০৮১২৮০ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন।