ঝিনাইগাতী মহিলা কলেজ : অবশেষে এমপিও হারালেন খলিল , ফিরে পেলেন যমুনা
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর : বহু জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের এমপিও ফিরে পেলেন সেই যমুনা। ফলে একদিকে যেমন সত্য প্রতিষ্টিত হলো। অপরদিকে স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতির দায়ে সাবেক অধ্যক্ষ খলিলুলের এমপিও বাতিল এবং অবৈধ শিক্ষক আফরোজা আক্তারও হারালেন সবকিছু।
কলেজ সুত্রে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় ২০১৯ সালে ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজটির ডিগ্রী শাখা এমপিও ভুক্ত হওয়ায় বিধিসম্মত ভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত শাখার নিয়মিত ও বৈধ শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের তালিকা ব্যানবেইস অফিস প্রেরণের জন্য বলা হইলে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান নিজের হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য অত্র কলেজের ডিগ্রী শাখার দর্শন বিভাগের নিয়মিত ও বৈধ প্রভাষক যমুনা খাতুনকে বাদ দিয়ে রাতারাতি ময়মনসিংহের ফুলপুর কাতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তারের নাম প্রেরণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে যমুনা খাতুনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম,অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, কলেজ পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষকমন্ডলী, এলাকার সুধীজন ও সাংবাদিকরা অধ্যক্ষ খলিলের এহেন কর্মকাণ্ডে ফুঁসে ওঠেন। ফলশ্রুতিতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ যমুনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করতে গেলে অধ্যক্ষ খলিলের সকল অপরাদের গোমর ফাঁস হয়ে যায়। পরে ইউএনও রুবেল মাহমুদ বৈধ শিক্ষক যমুনার পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরবর্তীতে শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও তদন্ত করে অধ্যক্ষ খলিলের দুর্নীতির প্রমাণ পান। এসব প্রমানের ভিত্তিতে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের এমপিও বাতিল ও বৈধ শিক্ষক যমুনা খাতুনকে এমপিও ভুক্তির আদেশ দেন।
বিধি মোতাবেক ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে যমুনা খাতুন তার স্বীয় পদে বিল ভাতা পাওয়ার কথা থাকলেও অধ্যক্ষ খলিলের প্রতারনার কারণে সকল জল্পনা কল্পনা ও তদন্ত শেষে বৈধ শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যমুনা খাতুন ২০২১ সালের জুলাই মাসে তার স্বপদে বেতন পেলেন। ফলে আবারও প্রমাণ হলো হাজারও মিথ্যা দিয়ে সত্যকে কখনো ঢেঁকে রাখা যায়না।
এ ব্যাপারে শিক্ষক যমুনা খাতুন তার ন্যায় সঙ্গত দাবী আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।