নকলায় ২ মিনিটের ব্যবধানে করোনার ২ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান
নূর হোসাইন, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যবয়সী একনারীকে মাত্র দুই মিনিটের ব্যাবধানে দুই ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। টিকা গ্রহনকারী ওই নারীর নাম আরতী রাণী দাস (৩৫)। সে নকলা শহরের গ্রীন রোড এলাকার মোটরসাইকেল মিস্ত্রী মিন্টু দাসের স্ত্রী।
সোমবার (৯ আগষ্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
টিকা প্রদানকারী সিনিয়র স্টাফ নার্স (নার্স সুপারভাইজার) মাহমুদা আক্তার বুলি আরতি রাণী দাসকে জুরকরে একই হাতে দুই মিনিটের ব্যবধানে ২ টি টিকা প্রদান করেন।
আরতী রানী বলেন, আমি ও আমার এক ঝা একসাথে টিকা নিতে আসছিলাম। আমাকে আগে টিকা দেওয়া হয়। আমরা ঝা টিকা নিচ্ছেন, তাই অপেক্ষা করতেছিলাম। এমনসময় ২ মিনিটের ব্যবধানে নার্স আপা হুটকরে চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে ধমক দিয়ে চেয়ারে বসতে বলেন। আমি একবার টিকা নিয়েছি বলার পরে, আবার ধমক দিয়ে আমাকে বসতে বলেন। একবার টিকা দেওয়ার কথা বলার পরেও আপার ধমকে আমি ভাবছি হয়তোবা টিকা দুটিই দিতে হয়। তাই চুপকরে বসার পরে ওই আপাই আবার একই হাতে আরও একটি টিকা দিয়েদেন।
পরে আমার সাথে থাকা ঝা-কে জিজ্ঞেস করছি তোমাকে টিকা কয়টা দিলো। সে জানায় একটি। পরে আমাকে দুইটি টিকা দেওয়ার কথা জানালে, ওই নার্স আপাকে বললে তৎক্ষণিক আরতি রাণীকে পর্যবেক্ষণ রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই নারীকে পর্যবেক্ষণে রাখার তিন ঘন্টা পার হতে না হতেই তাকে নকলা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
টিকা প্রদানকারী সিনিয়র স্টাফ নার্স (নার্স সুপারভাইজার) মাহমুদা আক্তার বুলি একই সাথে দুই ডোজ টিকা প্রদানের কথা ভুল স্বীকার করে বলেন, টিকা দুটি দিলেও কোন সমস্যা নেই। আর যদি রোগির কোন সমস্যা নাহয়, তাহলে আর কি কোন কথা আছে? আপনারা এটা নিয়ে মাতামাতি করা শুরু করেছেন কেন?
নকলা উপজেলা সাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা জানান, এক নারীকে একসাথে করোনার ডাবল ডোজ দেওয়া হয়েছে, এটা শুনে তাৎক্ষণিক ওই নারীকে পর্যবেক্ষণ কক্ষে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এমন ঘটনা হওয়ার কথা নয়। হয়তোবা ভুল বশত হয়ে গেছে। নারীটিকে হাসপাতালে একদিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখনও কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তাই ধারনা করা হচ্ছে এতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে টিকা প্রদানকারী নার্স দোষী হিসাবে চিহিৃত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএইচএফপিও ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।