ঝিনাইগাতীতে আপোষ মিমাংসার পর বিধবাকে হয়রানির অভিযোগ
মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, ঝিনাইগাতী : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনানী সরকারী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তার পাশের দুটি রেন্টি কড়ই গাছ কাটা বিষয়ে মিমাংসার প্রায় ১ বছর পর কলেজের দুই প্রভাষক এর সাথে রশি টানা টানি চলছে ফাতেমা নামের এক বিধবা মহিলার । ২২ মে শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বিধবা মহিলা ফাতেমার ঘরের পীড়া সংলগ্ন প্রায় ২০ বছরের পুরনো দুটি রেন্টি কড়ই গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই গাছ দুটি ফাতেমা বেগমের শ্বশুড় হানিফ মেম্বার লাগিয়েছিলেন। গাছ দুটি বড় হওয়ার কারণে গাছের ডালপালা দ্বারা ফাতেমা বেগমের ঘরের ক্ষতি হয়ে আসছিল। ফলে ফাতেমা বেগম প্রথমে গাছের কিছু ডালপালা কেটে ফেলে এবং একটি গাছে পচন ধরায়, ফাতেমা গাছ দুটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এসময় কলেজ কর্তৃপক্ষ গাছ কাটতে বাধা সৃষ্টি করে। অবশেষে বিধবা ফাতেমা বেগম তার জমির উপর শ্বশুড়ের রোপনকৃত গাছ দুটি কাটার জন্য কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। ওই আবেদনের উপর ভিত্তি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলেজ অধ্যক্ষকে জমি পরিমাপ করে গাছ কাটা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেই মোতাবেক উভয় পক্ষের আমিন দ্বারা জমি পরিমাপে দেখা যায় ফাতেমার জমির মধ্যে গাছ দুটি বিদ্যমান এবং অধ্যক্ষ ফাতেমাকে গাছ কাটার মৌখিক অনুমতি দেন। সে মোতাবেক দীর্ঘ ১ বছর আগে ফাতেমা বেগম গাছ দুটি কেটে ওই স্থানেই রেখে দেন। গত ২১ মে শুক্রবার গাছ দুটি ১৪ হাজার টাকা দাম সাবস্ত করে এলাকার কুদ্দুছ নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী কাছে ফাতেমা বেগম গাছ দুটি বিক্রি করেন। এর পর থেকেই ওই কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী ফাতেমা বেগমের উপর বিভিন্নভাবে দোষ চাপিয়ে গাছ দুটি দাবী করে আসছে। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, গাছ দুটি ফাতেমার জমিতেই বিদ্যমান ছিল। তবে তার শ্বশুড় লতিফ মেম্বার মৌখিক ভাবে কলেজকে দান করেছিল। আমি কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের পরামর্শ অনুযায়ী জমি পরিমাপ করিয়া গাছ দুটি ওই মহিলাকে ছেড়ে দেই। ওই কলেজের প্রভাষক মাসুদুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম জানান, গাছ দুইটি নয় তিনটি এবং যার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা । তবে গাছ দুইটি মূলতঃ রেন্টি কড়ই যাকে বলে ছায়া গাছ আর গাছগুলোর কাঠ দামও কম।