কবি তালাত মাহমুদের গ্রামের বাড়ির গাছ বিক্রি করে দিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র
স্টাফ রিপোর্টার: কবি সংঘ বাংলাদেশ-এর সভাপতি বিশিষ্ট কবি সাংবাদিক ও কলামিস্ট তালাত মাহমুদের গ্রামের বাড়ির একটি প্রকান্ড ইউক্যালিপ্টাস গাছ ও একটি বিরাট গামারী গাছ বিক্রি করে দিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র।
কবি তালাত মাহমুদ নকলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে ১৪/৩/২০২১ ইং তারিখ থেকে ২৯/৩/২০২১ ইং তারিখ পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলেন। চক্রটি ২১/৩/২০২১ ইং তারিখ রোববার কবি তালাত মাহমুদের অজ্ঞাতে অদক্ষ আমিন এনে চক্রটির কথামতো মাদরাসার জমি মাপার নামে লোক দেখানো মাপ দিয়ে কবি তালাত মাহমুদের জমিতে খুঁটি পুঁতে রেখেছে। ইউক্যালিপ্টাস গাছটি মাদরাসার সীমার মধ্যে দেখিয়ে বিক্রি করার সুযোগ তৈরি করে। ইতিপূর্বেও মুকছেদুল আলম নামে ওই চক্রের হোতা কবি তালাত মাহমুদের জমির উপর থাকা একটি প্রকান্ড গামারী গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকীকে জানানো হয়। গাছ দুটির আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বাছুর আলগা মৌজার ১নং সিটে দেখা যায়, ৯৩৮ ও ৯৩৯ নং দাগের পূর্বপাশের রেখাটি ৫/৬ ফিট সামনের দিকে (পূর্ব দিকে) বাঁকানো। এর ফলে উক্ত দাগের পূর্ব পাশে অবস্থিত মাদরাসার আধাপাকা দালানের পশ্চিম পাশের দেওয়ালটি ৯৩৮ ও ৯৩৯ নং দাগের জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। অথচ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বাছুর আলগা (উত্তরপাড়া) গ্রামের মৃত মুজাম্মেল হকের পুত্র মুকছেদুল আলম, মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র জীবন, মৃত রিয়াজউদ্দিনের পুত্র আতাহার আলী, মৃত চানমিয়ার পুত্র আঙ্গুর গং গাছ বিক্রি করার জন্য এই নীলনক্সা তৈরি করে। উল্লেখ্য, বাছুর আলগা মৌজার ৯৩৬নং দাগের মাদরাসার জমিটির উত্তরের রেখা পূর্ব-পশ্চিম প্রস্থ ১১৫ ফুট, দক্ষিণের রেখা পূর্ব-পশ্চিম প্রস্থ ১৩৫ ফুট, পূর্বের রেখা উত্তর-দক্ষিণ দৈর্ঘ ১৮০ ফুট, পশ্চিমের রেখা উত্তর-দক্ষিণ দৈর্ঘ ১৮০ ফুট এবং দাগের পূর্ব পাশের রেখাটি পশ্চিম দিকে (ভিতরের দিকে) বাঁকা থাকায় জমিটির মাঝখানে পূর্ব-পশ্চিম প্র্রস্থ ১১০ ফুট। জমি না মেপে মাদ্রাসার পূর্বপাশের দেওয়ালটি নির্মাণ করায় দেওয়ালের বাইরে উত্তর কোণায় জাডুর দোকানের সামনে এবং দক্ষিণকোণায় রেহান গং এর জমির দিকে রাস্তা বাঁকানো এবং আব্দুর রশিদ ফিরোজের জমিতে কিছ ুজমি বিদ্যমান রয়েছে। এরফলে মাদরাসার ৫০ শতাংশ জমির মধ্যে প্রায় এক শতাংশ জমি বেহাত হয়েছে।
জমি মাপের সময় ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি সদস্য সারোয়ার হোসেন খোকা, সাবেক ইউপি সদস্য মাহবুবুল আলম রানা ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ ফিরোজ গং উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জমি মাপে কেউ যাতে বাঁধা দিতে না পারে সেজন্য দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ৮/১০ জন যুবক উপস্থিত ছিল বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক’জন প্রত্যক্ষদর্শী জানান।