সুদ কারবারির টাকার চাপে আত্মহত্যা : ২ জনের নামে মামলা

শেরপুরের আলো ডেস্ক : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ফয়সাল আহমদ সৌরভ (৩৩) নামে এক নৌপরিবহণ ব্যবসায়ীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দুই ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের আনোয়াপুর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে সফিক মিয়া ও পার্শ্ববর্তী বাদাঘাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া।
শুক্রবার বিকালে বালিজুরী ইউনিয়নের পাতারি গ্রামের আত্মঘাতী ওই ব্যবসায়ীর বাবা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অভিযুক্ত আসামিরা সুদের কারবারি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফয়সাল আহমেদ সৌরভ বছরখানেক আগে আসামি সফিক ও রফিকের কাছ থেকে মাসিক লাভ পরিশোধের শর্তে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। এর বিপরীতে মাসে মাসে সুদের লাভ ৩ লাখ টাকা পরিশোধের পরও সুদ আসলসহ আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য দিনের পর দিন তারা ফয়সালকে চাপ দিতে থাকেন।
সুদের টাকা পরিশোধ না করায় চুনাপাথর পরিবহণ কাজে থাকা ফয়সালের এমভি রৌহান নামে একটি স্টিল বডি (বলগেট) নৌকা সফিক-রফিক উপজেলার শ্রীপুরের পাটলাই নদী তীরের কামালপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আটকে রাখেন।
রাতে গ্রামের সামনে রক্তি নদী তীরের একটি গাছে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ফয়সাল। এর আগে নিজের ফেসবুকে আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
সেখানে ফয়সাল লেখেন- ‘আমি গলায় দড়ি দিলাম তুই রফিকের জন্য। তুই আমারে কাবু করে লাশ বানাইলি, তুই ভালো থাক বেইমান। সফিকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা এনেছিলাম সুদে। তিন লাখ টাকা সুদ দিয়েও সাড়ে তিন লাখ টাকা পাওনা থাকে। এই রফিক আর সফিকের লাগি আত্মহত্যা করলাম। ভালো থাকুক আমার পরিবার। মা (মেয়ে) ফাইজা আমায় ক্ষমা করো। মা-বাবা, ভাই-বোন তোমরা ক্ষমা করে দিও। বউ তোমাকে কিছু বলার নাই। ইতি- এক কাপুরুষ!’
উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন বলেন, সফিক ও রফিকের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা বছরখানেক আগে দেনা করেছিলেন ফয়সাল। এ দুই ব্যক্তি সুদ কারবারি। সুদের টাকা পরিশোধে চাপ দেওয়ায় ফয়সাল আত্মহত্যা করেছেন।
তাহিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা বলেন, ফয়সালের আটকে রাখা বলগেটটি শুক্রবার বিকালে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামি রফিক-সফিককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সূত্র : দৈনিক যুগান্তর ।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)