জাতীয় মহিলা সংস্থা শেরপুর জেলা কমিটির চেয়ারম্যান হলেন নাছরিন বেগম ফাতেমা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় মহিলা সংস্থা শেরপুর জেলা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ নাছরিন বেগম ফাতেমা। মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে,জেলা প্রশাসক শেরপুর এর সুপারিশের ভিক্তিতে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে স¤প্রতি তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা আইন ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ৯নং আইন) এর ১০ ধারার (৩) উপ-ধারা, স্মারক নম্বর ঃ ৩২,০০,০০০০,০৩৮,০৬,০৬০,১৮-২২৩
০১-০৯-২০২০ তারিখে জাতীয় মহিলা সংস্থা শেরপুর জেলা শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ও এই পদে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব।
নাসরিন বেগম ফাতেমা তিনি ছাত্র জীবনের শুরু থেকে ছাত্র রাজনীতিতে নারীর অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ছিলেন সক্রিয়। এছাড়াও গরীব অসহায় ও হতদরিদ্র প্রায় ৯ শতাধিক চক্ষু রুগীর (চোখের ছানি) অপারেশন বিনামূল্যে করেছেন। এবং করোনা ভাইরাস কোভিট-১৯ যখন মহামারী আঁকার ধারণ করে,কারো যেন না খেয়ে না থাকতে হয় তাই এসব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চেয়ে তার উপর যারা আস্থা রেখে এই দায়িত্ব প্রদান করেছেন সকলের প্রতি নাছরিন বেগম ফাতেমা তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উলেখ্য জাতীয় মহিলা সংস্থা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি গঠনের পটভূমি হিসেবে স্বাধীনত্তোর বাংলাদেশের নারী সমাজের দূরাবস্থার পেক্ষাপট একটি অন্যতম কারণ। স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী বাংলার অগনিত নারী তাদের অসামান্য অবদান রেখেছেন। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে এ দেশকে স্বাধীন করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে এ সকল ক্ষতিগ্রস্থ মহিলাদের পূর্নবাসন করা জরুরী ছিলো।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পূর্নবাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ”নারী পূর্নবাসন বোর্ড” গঠনের মাধ্যমে শুরু হয় মহিলাদের প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রযাত্রা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার রক্ষা,বাংলাদেশের সর্বস্তরের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়ন ও তাদের অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করার জন্য সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালককে নির্দেশ প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে একটি মহিলা সংস্থার রুপপ্রেখা প্রণীত হয় যা ১৯৭৬ সালের ১৭ ফেব্র“য়ারী জাতীয় মহিলা সংস্থা নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে সংস্থার কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ ও জোরদার করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের ৪ ঠা মে তারিখে ৯ নং আইন বলে জাতীয় মহিলা সংস্থার একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে রুপ নেয়।