ফেসবুক না ফেকবুক ?
প্রভাষ আমিন:
ইদানীং নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের খবর পত্রিকায় ছাপা হয়। পড়তে ভালোই লাগে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সর্বশেষ অর্জনটি অর্জন না বিসর্জন বুঝতে পারছি না। ‘ফেসবুক ব্যবহারে ঢাকা বিশ্বে দ্বিতীয়’ এই খবরটি আমাকে ঠিক উৎফুল্ল করতে পারেনি। যদিও এ জরিপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। তবু ঢাকা ও এর আশপাশের ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ফেসবুকে সক্রিয়, এটা উৎফুল্ল হওয়ার মতো খবর নয়, বরং এই খবর আমাকে শঙ্কিত করেছে। যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত ‘উই আর সোশ্যাল লিমিটেড’ ও কানাডার ‘হুটস্যুট ইনকরপোরেশনের’ যৌথ প্রতিবেদনে এপ্রিল মাসে ফেসবুক ব্যবহারকারী শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের। সেখানে তিন কোটির বেশি মানুষ ফেসবুকে সক্রিয়। ২ কোটি ২০ লাখ সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে এরপরই আছে ঢাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উই আর সোশ্যালের করা প্রতিবেদনে ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়। ওই সময় ঢাকায় ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ। অর্থাৎ গত তিন মাসে ঢাকায় ৬০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়েছে। বাংলাদেশে মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লাখ। সেখানে ঢাকা ও এর আশপাশেই ২ কোটি ২০ লাখ, এটা ঠিক বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে আমার লেখার বিষয় এই পরিসংখ্যান নয়; আমার শঙ্কা ২ কোটি ৩৩ লাখ ব্যবহারকারী নিয়ে। তার মানে বাংলাদেশের ২ কোটি ৩৩ লাখ মানুষের কত মূল্যবান সময় খেয়ে নিচ্ছে ফেসবুক।
ঢাকার এই ‘অর্জন’-এর একদিনের মধ্যে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফেক একাউন্ট ঠেকাতে মাঠে নামে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তাতে রাতারাতি কমে যায় বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ছদ্মনাম, ভুয়া নাম, তারকাদের নামে ফেক একাউন্ট বন্ধের এই উদ্যোগে বন্ধ হয়ে যায় অনেক জেনুইন একাউন্টও। আর রাতারাতি কমে যায় বিভিন্ন পেজের লাইক ও কমেন্টের সংখ্যাও। ফেসবুক ব্যবহারের বিবেচনায় ‘অর্জন’-এর শঙ্কা কিছুটা কমেছে ফেসবুকের এই উদ্যোগে। গত ১৫ এপ্রিল এক বিবৃতিতে অভিযানের ব্যাখ্যা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ঠেকানোর কার্যকর উপায় হিসেবে ‘স্প্যাম অপারেশন’ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ অন্য কয়েকটি দেশ থেকে আসা ভুয়া লাইক ও মন্তব্য ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফেসবুক দাবি করেছে, তারা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিশাল একটি গ্রুপকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের মাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া লাইক সরিয়ে ফেলেছে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও ভুয়া লাইক সরানোয় অনেক পেজের লাইকের সংখ্যা কমে গেছে।
ফেসবুকের অভিযান শুরুর পর অনেকের বন্ধু সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। একজন তো স্ট্যাটাস দিলেন, তার ৪৫০ বন্ধু কমে গেছে। শুনে আমি খুব আশাবাদী হয়েছিলাম, যাক এবার বুঝি আমার তালিকায় কিছু জায়গা পাব। হা হতোশ্মি। তিনদিনে একজনও কমেনি। তাতে আমার মন খারাপ হয়নি, বরং এই ভেবে ভালো লাগছে যে, আমার তালিকা পুরোটাই জেনুইন, কোনো ভুয়া নেই। বছর তিনেক আগেই আমার তালিকা পূর্ণ হয়ে গেছে। অল্প অল্প করে নিষ্ক্রিয়, ডিঅ্যাক্টিভেট, ছদ্মনাম, ফেক আইডি দেখে বাছাই করি, আবার পূর্ণ হয়, আবার বাছাইÑ এভাবেই চলছিল। এখন তালিকার প্রায় সবার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ হয়Ñ সরাসরি, টেলিফোনে, ইনবক্সে বা কমেন্ট বক্সে। তবে ফেসবুকের বন্ধুত্বের লিমিটটা আমার কাছে বড্ড অপ্রতুল মনে হয়। প্রতিদিন বন্ধু হতে চাওয়া মানুষদের রিকোয়েস্ট ডিলিট করতে আমার কষ্ট হয়। একজন মানুষ বন্ধু হতে চাইছেন, কিন্তু তাকে গ্রহণ করা যাচ্ছে না, এটা খুব অসৌজন্যের। কিন্তু কিছুই করার নেই। তবু প্রায় ৫ হাজার বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও কম ঝক্কির নয়। সবার সঙ্গে না হলেও অনেকের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ফেসবুক আসলে আমাদের বড় পরিবার। কার ছেলের জন্মদিন, কার মেয়ের পরীক্ষার রেজাল্ট হয়েছে, কার মন খারাপ, কার ছাদের বাগানে ফুল ফুটেছে, কে কোন বই পড়ছে, কোন গান শুনছে, কোন সিনেমা দেখছে সব নিমিষেই জানা হয়ে যায় আমাদের। সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না সব শেয়ার করা যায় বন্ধুদের সঙ্গে।
ফেসবুকে সক্রিয় হলেও আমি কিন্তু আসলে প্রচ- ফেসবুকবিরোধী মানুষ। গত বছর কিছুদিন ফেসবুক বন্ধ ছিল। আমি খুব খুশি হয়েছিলাম, ইশ, যদি একেবারে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া যেতো। কদিন আগে সরকার মধ্যরাতে ফেসবুক বন্ধ করার একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। সেটাও সম্ভব হয়নি। জানি, আমি চাইলেও আর কোনোদিন ফেসবুকমুক্ত জীবন পাব না। যেহেতু ফেসবুকমুক্ত বিশ্ব গড়া সম্ভব নয়। তাই আমিও যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ফেসবুকে সক্রিয় থাকি। নইলে তো বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে। আমরা বুঝতেই পারি নাÑ ফেসবুক আমাদের মূল্যবান সময় কেড়ে নেয়, সুখ কেড়ে নেয়, স্বস্তি কেড়ে নেয়। মানুষের এখন বই পড়ার সময় নেই, গান শোনার সময় নেই, সিনেমা দেখার সময় নেই, বেড়াতে যাওয়ার সময় নেই; সারাক্ষণ স্মার্ট ডিভাইসের দিকে চোখ সবার। বেড়াতে গেলেও সামনে সমুদ্র রেখে ব্যস্ত সবাই সামাজিক যোগাযোগে। নিজের চোখে কেউ প্রকৃতি দেখে না, দেখে মোবাইল ক্যামেরার চোখে। কিন্তু ফেসবুক আমাদের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে অনেক কিছু। সত্যিকারের বন্ধুর চেয়ে, ফেসবুকের ভার্চুয়াল বন্ধুই এখন আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে এখন বই থাকে না, থাকে স্মার্ট ডিভাইস। আমরা বুক পড়ি না, ফেসবুক পড়ি। শিশুদের হাতে হাতেও এখন স্মার্ট ডিভাইস। অধিকাংশ শহুরে শিশুর প্রিয় খেলনা এখন মোবাইল বা ট্যাব। কারো কারো ফেসবুক একাউন্টও আছে। না থাকলেও শিশুরাও ইউটিউবের জগতে বিচরণ করে অবাধে। যখন তাদের খেলার মাঠে থাকার কথা, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দুষ্টুমি করার কথা; তখন তাদের দৃষ্টি-মনোযোগ নিমগ্ন স্মার্ট ডিভাইসের পর্দায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আরো বেশি অসামাজিক করে তুলেছে। কয়েকদিন আগে একজন ফোন করে বললেন, চইলা আইসেন কিন্তু। আমি বিস্মিত হয়ে জবাব দিলাম, কোথায়? তিনি পাল্টা জবাব দিলেন, কেন ফেসবুকে ইভেন্ট খুলেছি দেখেননি। তার বিয়ের দাওয়াত দিচ্ছেন তিনি ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে। সন্তান জন্মের আনন্দটা ভাগাভাগি করতেও ফেসবুক স্ট্যাটাসই ভরসা। পরীক্ষার ফলাফলও ফেসবুকে জানিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ। অথচ আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া হতো। সশরীরে না গেলে সেটা দাওয়াত হিসেবেই গণ্য হতো না। সন্তান জন্মের খবরের সঙ্গে যেতো মিষ্টির হাঁড়ি। এখন সবাই সব খবর ফেসবুকে জানিয়েই খালাস। বড় জোর স্ট্যাটাসের সঙ্গে মিষ্টির হাঁড়ির ছবি। সবই ভার্চুয়াল, মিষ্টিও। পাশের রুম থেকে অসুস্থ মা ডাকলে সাড়া দেওয়ার সময় নেই। কিন্তু মা দিবসে মায়ের সঙ্গে সেলফিসহ থরো থরো আবেগের একটা স্ট্যাটাস না দিলে মান থাকে না। ফেসবুকে মানুষ চেনা বড় দায়। বাস্তবে আপোসকামী মানুষটিই ফেসবুকে তুমুল বিপ্লবী। চোখের সামনে প্রতিদিন কত অন্যায় হয়, আমরা ফিরেও তাকাই না। কিন্তু বাসায় ফিরে একটা স্ট্যাটাস ঝেড়ে দেই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ হচ্ছে না বলে মূল্যবোধের ধসের স্লোগান দেই। ফেসবুক কখনো কখনো মানুষের ভেতরের কুকুরটাকে বের করে আনে। মুখে মুখে সুশীল, গণতন্ত্রের কথা বলি, পরমতসহিষ্ণুতার কথা বলি; কিন্তু মতে না মিললেই ফেসবুকে দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করি। প্রকাশ্যে কিছুটা সভ্য-ভব্য হলেও ইনবক্সে একেকজন অশ্লীলতার ডিপো। আর ফেক আইডি বানিয়ে পরিকল্পিতভাবে কারো বিরুদ্ধে লাগার উদাহরণও কম নয়। তবে সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে থাকে নারীরা। বন্ধু হয়ে ঢুকে তারপর অশ্লীল ইঙ্গিত, অশ্লীল প্রস্তাব, ফেক আইডি থেকে অশ্লীল শব্দবাণ নারীদের জীবন দুঃসহ করে তোলে। ভুয়া আইডি থেকে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো, অশ্লীলতা ছড়ানো, সংঘবদ্ধভাবে সাইবার আক্রমণ প্রতারণাÑ ভুক্তভোগী কারো কারো জন্য ফেসবুক এক আতঙ্কের নাম। এর কোনো প্রতিকার নেই। কারণ সাইবার অপরাধীরা ফেক, এদের খুঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণেই ফেসবুকের ফেক আইডি, ছদ্মনামের বিরুদ্ধে অভিযান আমাকে স্বস্তি দিয়েছে। অচেনা বন্ধুর চেয়ে চেনা শত্রুও ভালো। অন্তত আপনি জানবেন, কে আপনাকে আক্রমণ করবে, কিভাবে করবে, কী ভাষায় করবে। এই অপারেশনের ফলে ফেসবুকটা যেন সবার জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়, সে আশায় বসে আছি।
ফেসবুকে পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রেম, প্রেম থেকে পরিণয়ের অনেক উদাহরণ যেমন আছে; আছে অসংখ্য প্রতারণার গল্পও। আছে পরকীয়ায় সংসার ভাঙনের গল্পও। প্রেমটাও কেমন খেলো হয়ে যাচ্ছে। দুদিনের চ্যাটিংয়ে গভীর প্রেমের দাবি অনেকের। আসলেই কি প্রেম? প্রেম কি এত সস্তা। অ্যাকচুয়াল প্রেমে একটুকু ছোঁয়ার শিহরণ অনেকে বয়ে বেড়ান জীবনভর। কিন্তু ভার্চুয়াল প্রেমে ছোঁয়াছুঁয়ির বালাই নেই। কিভাবে হয় প্রেম? ইনবক্স বা ফোনেই নাকি মিটে যায় সব চাহিদা। বিস্ময়কর!
তাহলে কি ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পুরোটাই খারাপ? মোটেই না। ফেসবুকে অনেক অসাধারণ উদাহরণ আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে গোটা বিশ্ব এখন সত্যিই সবার হাতের মুঠোয়। বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন আপনি, সংযুক্ত থাকবেন নিমিষেই। হারিয়ে যাওয়া কত বন্ধু ফিরে পাওয়া যায় ফেসবুকে। ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগের শক্তি ব্যবহার করে কত ভালো ভালো কাজ হচ্ছে প্রতিদিন। কারো রক্ত লাগবে? ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেই মিটে যায় সমস্যা। অসুস্থ কারো জন্য ফান্ড জোগাড়ের ভালো উপায় ফেসবুক। এখানেও অনেক প্রতারণা হয়, তবু অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে ফেসবুক। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো, অন্যায়ের প্রতিবাদের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ই-কমার্স ব্যবসার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। সবার জন্যই চাই নিরাপদ ফেসবুক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন বিকল্প গণমাধ্যম হয়ে উঠছে। কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত জনমত গড়ে ওঠে ফেসবুকে। কাদের মোল্লার লঘুদ-ের প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে উঠেছিল ফেসবুকের ইভেন্ট থেকে। কখনো কখনো মূলধারার গণমাধ্যমও প্রভাবিত হয় সামাজিক মাধ্যমে, কখনো কখনো অনুসরণ করে ফেসবুককে।
আগেই বলেছি, ফেসবুকের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হলো, সময় খেয়ে নেওয়া। আমি অনেক হিসাব করে ফেসবুক ব্যবহার করি। তারপরও জানি, ফেসবুক না থাকলে আরো অনেক সময় বেঁচে যেতো। তাই খেয়াল রাখতে হবে ফেসবুক যেন আমাদের সব সময় খেয়ে না ফেলে। সারাক্ষণ ফেসবুক পড়ার চেয়ে প্রিয়জনের ফেসের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকানো, ভালো একটি বই পড়ার জন্য, একটি সিনেমা দেখার জন্য, গান শোনার জন্যও যেন একটু সময় যেন থাকে হাতে। প্রকৃতির রূপ যেন আমরা দেখতে পাই আমাদের নিজের চোখে, শুধু ক্যামেরার চোখে নয়। ফাদার্স ডে, মাদার্স ডে’তে স্ট্যাটাস না দিয়ে বয়স্ক বাবা-মা’র জন্যও যেন প্রতিদিন একটু সময় রাখি। যেন খেয়াল রাখি সন্তানের দিকে। মাঝেমধ্যে যেন প্রিয়ার হাতে হাত রেখে অনুভব করি ভালোবাসার উষ্ণতা। প্রিয়তমাকে পাশে বসিয়ে রিকশার হুড ফেলে ভিজিই না হয় তুমুল বৃষ্টিতে। সম্পর্কটা যতই ভার্চুয়াল হোক, ভালোবাসাটা যেন অ্যাকচুয়ালই হয়। হ্যাপি ফেসবুকিং।
প্রভাষ আমিন : বার্তাপ্রধান, এটিএন নিউজ
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)