শেরপুরে জেলা প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং । শেরপুরের আলো
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ৪র্থ পর্যায়ে ভূমি ও গৃহ প্রদানের মাধ্যমে শেরপুরের ৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন মূক্ত ঘোষণা করা উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেছে শেরপুর জেলা প্রশাসন। ২০ মার্চ সোমবার বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।
এতে জানানো হয়, আগামী ২২ মার্চ সারাদেশের সাথে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায়-১৫০টি, নালিতাবাড়ী উপজেলায়-৪৭৫টি ও ঝিনাইগাতী উপজেলায়-৭৫টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদেরকে হস্তান্তর করা হবে। এর মাধ্যমে শেরপুর জেলার ১ম- ৪র্থ পর্যায় পর্যন্ত সর্বমোট ১৮৭০টি ভূমিহীন-গৃহহীন ও আশ্রয়হীন তৃণমূল, প্রান্তিক পরিবার পুনর্বাসিত হবে। তন্মধ্যে উল্লিখিত ৩ টি উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার সমূহের মধ্যে যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পে যেতে ইচ্ছুক তাদের পুনর্বাসন সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি শেরপুর জেলার সাথে যুক্ত হয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু, এডিসি (রেভিনিউ), ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, শেরপুর সদর, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অপিসার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যেদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুক্তাদির আহমেদ, ঝিনাইগাতীর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান লেবু, শ্রীবরদীর ইউএনও, সংসদ সদস্যগণের প্রতিনিধি সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য বাসস্থান নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন গৃহহীনদের জন্য একক গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। এর আওতায় শেরপুর জেলায় ১৮৭০ টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার মাথার ওপর ছাদ পাচ্ছেন। অন্যান্য উপজেলাসমূহেও কাজ চলমান রয়েছে। সেগুলোও শিঘ্রই গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই ও জলবায়ু-সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে নকশা পরিবর্তন করেছেন। এতে প্রতিটি পাকা ঘর নির্মাণ খরচ হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার পাঁচ শত টাকা এবং পরিবহন খরচ অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা।