শেরপুরের শিক্ষাগুরু স্যার সুফি ইউসুফ মিয়ার ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
মো. কায়সার রশীদ, শেরপুর : শিক্ষাগুরু স্যার সুফি ইউসুফ মিয়া শেরপুর জেলা সদরের ২নং চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমোড়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পীর সাহেব বাড়ীর ( হাজী বাড়ী, সাহেব বাড়ী) এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে গ্রহণ করেন। তিনি শেরপুর জেলা তথা জামালপুরের উত্তর অঞ্চলের সর্বপ্রথম গ্রেজুয়েট ডিগ্রিধারী ছিলেন । সম্ভবত: ১৮৯৬ সালে বাবা মরহুম আব্দুল লতিফ, দাদা মরহুম হাজী দীন মোহাম্মদ (রহঃ), উনার দাদার বাবা মরহুম হাজী মজনু শাহ (রহঃ) ফরায়েজী, বিপ্লবী রাহনুমা ফরায়েজী আন্দোলনের বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাহনুমা। শেরপুরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের সুলতানপুরে বসবাস করে তিনি শ্রীবরদী উপজেলার গরজরিপায় ঘাঁটি স্থাপন করেন। উনার দাদার দাদা মরহুম হাজী বাহারুল্লাহ (রাঃ) ও তার বাবা মরহুম হাজী হিজবুল্লাহ সুদুর ইরান থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য রংপুরে আসেন । তার দাদার বাবা মরহুম হাজী মজনু শাহ (রহঃ) ফরায়েজি, হাজী শরীয়ত উল্ল্যার সহযোগিতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে শেরপুরের গরজরিপায় ঘাঁটি স্থাপন করেন । বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাগুরু ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের প্রিয় ছাত্র ছিলেন স্যার সুফি ইউসুফ মিয়া । তিনি আজীবন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সর্বপ্রথম শেরপুর জেলা সদরের ২নং চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনী মোড়া হাই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষকতার জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী, জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,শেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়( বাগরাকসা) এ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে সর্বশেষে যোগিনীমুরা উচ্চ বিদ্যালয় অবৈতনিক শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত । তিনি রেখে গেছেন অগনিত ছাত্র/ছাএী । তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুবমন্ত্রী, বিশিষ্ট কলামিস্ট মরহুম আব্দুল হামিদ খন্দকার, শেরপুর সরকারী কলেজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ সৈয়দ আঃ হান্নান, জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রয়াত বাবু রোহিনী কান্ত হোড়, বাংলাদেশের বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক মরহুম সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর পৌরসভার জনপ্রিয় পৌরপিতা জননেতা মরহুম লুৎফর রহমান মোহন, সাবেক তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, দৈনিক আজকের কাগজ পএিকার সম্পাদক গোলাম রহমান রতন,১৯৭৭ সালের বঙ্গভবনের ডিসি মরহুম দাউদ খান মজলিস আরও আনেকেই । ১৯৯১ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, শেরপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।