শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগে তৃণমূল ভোটে বিজয়ী আনিস । শেরপুরের আলো
নাজমুল হোসাইন,শেরপুর :
শেরপুর পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের প্যানেল করে কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য আজ ৩ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থকে শেরপুর জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃণমূল ভোট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর শহর আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য, পৌর এলাকায় অবস্থানরত জেলা ও শেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা এতে ভোট প্রদান করেন।মোট ১০৯ জন ভোটারের মধ্যে ১০৩ জন ভোটার প্রদান করেন এবং ৬ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন।মো:আনিসুর রহমান আনিস ৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনোয়ারুল হাসান উৎপল ৩৩ ভোট এবং বতর্মান মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন পেয়েছে ২১ ভোট।
দলীয় সূত্রে জানাযায়, সম্প্রতি শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের এক সভায় দলীয় ৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীকে সমঝোতায় আনার জন্য ১২ সদস্যের কমিটি করে দেয়া হয়। এতে তারা সমঝোতা পৌছতে ব্যর্থ হন। পরে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্রমানুসারে ৫ জনের নামই কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে কেন্দ্রই ঠিক করবে কাকে মনোনয়ন দিবে। তার প্রেক্ষিতেই আজ ৩ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে ৫ জন মেয়র পদে প্রার্থী থাকলেও তৃণমূল নির্বাচনের আগে দুইজন তা বয়কট করেছেন।তারা হলেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক,জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার এবং জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়য়ক সম্পাদক মো:আরিফ রেজা।
তৃণমূল ভোট জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছেন আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য খোরসেদুজ্জামান ও সহ-সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম। প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল বলেন, আমরা স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রার্থীর তালিকা করছি। যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আশা করি সবাই দলের মতামত ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করবেন।