বন্দি জীবনের অবসান হচ্ছে খালেদা জিয়ার
শেরপুরের আলো ডেস্ক :
দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি জানান, বয়স বিবেচনায় সদয় হয়ে সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৬ ধারায় তার সাজা ছয় মাস স্থগিত করা হয়েছে।
‘তবে খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
বর্তমানে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা বিচারাধীন থাকলেও কারামুক্তিতে বাধা ছিল জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা।
সর্বশেষ গত ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সম্প্রতি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে।
গতকাল সোমবার কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ৭৫ বছর বয়সোর্ধ্ব খালেদা জিয়ার শিগগির মুক্তি দাবি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, কারাবন্দি এবং বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবন আজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শত শত ডাক্তার এবং নার্স যেখানে প্রতিনিয়ত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ছাড়া কাজ করছেন এবং হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা করছেন। তারা আবার খালেদা জিয়ারও চিকিৎসা করছেন। সুতরাং যেকোনো সময় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। যা আল্লাহ না করুক ডাক্তার, নার্সসহ খালেদা জিয়ার জীবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে। মারাত্মক ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন দেশ কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থয় খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার্থে শিগগির তার মুক্তি দাবি করছি।
মাহবুব উদ্দিন খোকনের এমন বক্তব্যের ঠিক একদিন পরেই সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা জানানো হলো।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সেখানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বছরের ১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তথ্যসূত্র :দৈনিক যুগান্তর
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)