সব পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
রাজনীতি ডেস্ক:
ভোটের লড়াইয়ে কিংবা আন্দোলনের মাঠে, দুই ক্ষেত্রেই বিএনপিকে মোকাবেলার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নির্বাচনে এলে কী কৌশল হবে, আর না এলে কী কৌশল হবে, তাও ঠিক করে রাখলেও দলটিকে ভোটে আনতে আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার মধ্যে নানা আশঙ্কা-অনিশ্চয়তার মধ্যে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলের ভাবনার কথা খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
নির্বাচনকালীন সরকার এবং ভোটের আগে জোটের বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশাবাদী টানা তৃতীয় মেয়াদেও তারা ক্ষমতায় থাকবেন।
তরুণ ভোটার ও নারীদের সমর্থনের উপর ভর করেই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশা করছেন ওবায়দুল কাদের।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েও সফল হয়নি বিএনপি। ফলে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে তাদের আন্দোলনের হুমকিতেও গা করছে না আওয়ামী লীগ।
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোটে যেমন সহিংস আন্দোলন করেছিল, এবারও তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির শঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তবে দলের প্রস্তুতির কথাও সেই সঙ্গে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে, আমরা জানি। আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমরা সতর্ক আছি।
“তারা কী প্রস্তুতি নিচ্ছে, কী তাদের প্ল্যান। এ ব্যপারে আমরা ওয়াকিবহাল, কাজেই সময় আসুক যদি চৌদ্দ (২০১৪) সালের মতো কিছু করতে চায়, দাঁতভাঙ্গা জবাব দেব। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আছি।”
বিএনপির আন্দোলনের ‘সামর্থ্যহীনতা’ কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে।
তিনি বলেন, “জনগণ নয় বছরে সাড়া দেয়নি একবারও। তারা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ।
“তাদের নেতারাই আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরয়াল দেখে। আমাদের নেতারা নির্যাতনের মাঝেও রাস্তা ছাড়েনি। তাদের তো সৎ সাহস নেই।”
আবার বিএনপি নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়ে জয়ী হতে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরই নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানান কাদের।
তিনি বলেন, “জোটসঙ্গীদের ও বলে দিয়েছি, বিএনপি ইলেকশন করবে না, এটা আমরা মনে করছি না। বিএনপি একবারে হেলাফেলা করার মতো দলও তারা না।
“জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকে প্রধান্য দিয়ে আমরা মনোনয়ন দেব। আমলনামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে, সব জরিপ দেখেই আমরা বিবেচনা করব, কাকে মনোনয়ন দেওয়া যায়।”
বিএনপির ভোটে আসা না আসার উপর যে ভোটের আগে জোটের হিসাব যে বদলে যাবে, তা ১৪ দলীয় জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথায় স্পষ্ট।
“যারা আছেন তারা বলেছেন এই জোটেই থাকছেন। জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে বিএনপি ইলেকশনে না আসলে জোট থেকে বেরিয়ে তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন। আর বিএনপি ইলেকশনে আসলে জোটেই থাকছেন। এটা তো তারা প্রকাশ্যেই বলেছে।
“আর জোটের সমীকরণ- এই বিষয়গুলো নির্বাচনী রাজনীতিতে খুবই ডিফিকাল্ট বিষয়। যেটা সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে, নতুন নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে।”
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)