শ্রীবরদীতে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী(শেরপুর) প্রতিনিধি:
শ্রীবরদীতে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত রোগী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত রমেশ সোমের ছেলে প্রাণেশ সোম (৫৫)। এ বিষয়ে নিহতের ভাতিজা ভবেশ সোমের ছেলে দিপন সোম ১৯ ফেব্রুয়ারী সিভিল সার্জন বরাবর ওই উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের শাস্তির দাবীতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২২ জানুয়ারী ভোর ৪.১৫ মিনিটে অভিযোগকারীর চাচা প্রাণেশ সোম হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় তাকে ৪.২০ মিনিটে শ্রীবরদী সরকারি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শামীম আলম প্রাণেশ সোমকে কোন প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান না করে শুধু মাত্র রেজিষ্ট্রারে অর্ন্তভূক্ত করে ( রেজি: নং ৬৭৯/০৩) তার চেয়ারে বসে থাকেন। অভিযোগকারী দিপনের মা তপু সোম বার বার রোগীকে দেখার জন্য অনুরোধ করলে শামীম আলম চেয়ার থেকে উঠেন নাই বরং তপু সোম কে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। কর্তব্যরত ডাক্তার তাজকিয়া তাসনিম আহম্মেদ পিছনে স্টাফ কোয়াটার থেকে আসতেই রোগী জরুরী বিভাগের বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় ভোর ৪.৪৫ মিনিটে মারা যান। কর্তব্যরত ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অভিযোগকারী দিপন সোম বলেন, উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শামীম আলম আমার চাচা প্রাণেশ সোমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তয়তোবা আমার চাচা মারা যেতো না। শামীম আলমের দায়িত্বে অবহেলার কারণে আমার চাচা মারা গেছেন। এ বিষয়ে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ইমরান হোসেনকে মৌখিক ভাবে অবগত করলে তিনি বিচারের আশ্বাস দেন কিন্তু কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোন বিচার না পেয়ে আমি গত ১৯ ফেব্রুয়ারী সির্ভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। আমি শামীম আলমের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। যাতে ভবিষ্যতে কোন ডাক্তার বা উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এই ধরনের কর্মকান্ড করার সাহস না পান। এছাড়াও শামীম আলমের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে অসদাচরনের অভিযোগও রয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শামীম আলম বলেন, রোগী আসার ১০ মিনিট পরেই ডাক্তার এসেছেন। আমার কাজ ডাক্তারকে সহযোগিতা করা। আমাকে সরানোর জন্য একটি মহল কাজ করছে। আপনার সাথে দিপনের কোন শত্রুতা আছে কিনা এমন প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, আমি এখন অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারীর সাথে কথা বলছি। আপনার সাথে পরে কথা বলব। এই বলে তিনি সাংবাদিকের ফোন কেটে দেন। ডা. তাজকিয়া তাসনিম আহমেদ জানান, রোগী আসার খবর পেয়েই আমি জরুরী বিভাগে যাই, গিয়ে দেখি রোগী মৃতপ্রায়। এই অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে কিছুই করার ছিল না। আমি যাওয়ার পূর্বে শামীম আলমের সাথে কি ঘটেছে তা জানি না। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, আমার কাছে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে সিভিল সার্জন বরাবর এই ধরনের একটি অভিযোগের কথা শুনেছি। সিভিল সার্জন রেজাউল করিম জানান, এই ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই এক দিনের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)