শ্রীলঙ্কার বিদায়, সেমিতে পাকিস্তান
ক্রিড়া ডেস্ক:
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য এই ম্যাচে পাকিস্তানীদের ২৩৭ রানে টার্গেট দিয়েছিল লঙ্কানরা। ইনিংসের ৩১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্য ছুঁয়েছে পাকিস্তান।
এই মাচের মধ্য দিয়ে আসরে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হলো। আগামী ১৪ জুন প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। অন্যদিকে, ১৫ জুন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সোমবার কার্ডিফে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় পাকিস্তান। এই সুবাদে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় লঙ্কানরা। তবে, ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২৬ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার দানুশকা গুনাতিলাকাকে (১৩)। উদ্বোধনী এ জুটি ভাঙেন পাক পেসার জুনাইদ খান।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে নিরোশান ডিকবেলার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে লঙ্কানরা। তবে টানা দুই ওভারে ১ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট নিয়ে আবার ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারানো লঙ্কানরা ম্যাথুজ ও ডিকবেলার ব্যাটে দ্বিতীয় দফায় প্রতিরোধ গড়েন।
হাফসেঞ্চুরি থেকে খুব বেশি দূরে ছিলেন না ম্যাথুজ। কিন্তু ৩৯ রানে মোহাম্মদ আমিরের কাছে বোল্ড হন অধিনায়ক। এখানেই বড় ব্রেকথ্রু আনে পাকিস্তান। আমির ও জুনাইদের জোড়া আঘাতে ৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ডিকবেলা ইনিংস সেরা ৭৩ রানে আমিরের দ্বিতীয় শিকার।
২ ও ১৭ রানে দুইবার জীবন পাওয়ার সদ্ব্যবহার করতে পারেননি আসেলা গুনারত্নে। ২৭ রানে হাসান আলীর শিকার তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে জুনাইদ ও হাসান সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন আমির ও নতুন মুখ ফাহিম আশরাফ।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজহার আলী ও ফখর জামানের উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান তুলে পাকিস্তান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা ফখর এদিন হাফসেঞ্চুরির দেথা পান। তবে ব্যক্তিগত ৫০ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। আজহার আলী করেন ৩৪ রান।
এরপর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বেশ ঘন ঘন উইকেট হারাতে শুরু করে পাকিস্তান। ২৯.৫ ওভারে পাকিস্তানীদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৬২ রান। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও পেসার মোহাম্মদ আমির। দু’জনে মিলে ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। তাতেই ৪৪.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
আমির ৪৩ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অন্যদিকে, ৭৯ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন সরফরাজ। ব্যাট হাতে একটি রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। আইসিসির কোনো ওয়ানডে টুর্নামেন্টে দলকে জেতানোর পথে এই প্রথম কোনো পাকিস্তানী অধিনায়ক ৫০ বা এর বেশি রান করার কৃতিত্ব দেথালো।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)