প্রতারকরা বিশ্ব নবীর উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না

মুনশি আমিনুল ইসলাম : ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতারণা হারাম কাজ। হারাম কাজের গুনাহ অনেক বড়। যাকে বলা হয় কবিরা গুনাহ। প্রতারণা করলে শুধু যে গুনাহ হয় এমনটি নয়, প্রতারক ব্যক্তিকে নিজের উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন না বিশ্বনবি (সা.)। আর প্রতারকদের পরিণাম হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রতারকদের তিরস্কার করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা ধোঁকা দেয় আল্লাহকে এবং ঈমানদারদের, বস্তুত তারা নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দেয়; অথচ তারা বোঝে না।’ (সুরা বাকারা ৯)
বর্তমান সময়ে জীবন চলার প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষ কম-বেশি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য এমন কোনো ক্ষেত্র বাদ নেই যেখানে প্রতারণা চলে না। প্রতারণা এই সময়ের সবচেয়ে বড় মহামারি। এ থেকে উত্তরণে বিশ্বনবি (সা.)-এর একটি হুঁশিয়ারিই যথেষ্ট। তিনি বলেছেন- ‘যে প্রতারণা করে বা ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে না।’
হাদিসের বঙ্গানুবাদ : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) একটি খাদ্যশস্যের স্তূপ অতিক্রম করে যাওয়ার সময় তাতে হাত ঢুকিয়ে (স্তূপের) ভেতরে ভেজা অনুভব করলেন। তখন তিনি স্তূপের মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন, হে স্তূপের মালিক! এটি এমন কেন? উত্তরে স্তূপের মালিক বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! বৃষ্টির কারণে এরূপ হয়েছে।’ এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন- ‘তুমি ভেজা শস্য উপরে রাখলে না কেন? তাহলে ক্রেতাগণ এর প্রকৃত অবস্থা দেখতে পেত। (অর্থাৎ প্রতারিত হতো না।) যে প্রতারণা করে, সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে না।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং : ১০২)
সারকথা- ব্যক্তি ধনী হোক কিংবা গরিব, প্রতারণার সঙ্গে যে ব্যক্তি জড়িয়ে পড়বে, সে বিশ্বনবির (সা.) উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না। (নাউজুবিল্লাহ!)
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)