ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের তৎপরতায় আইন শৃঙ্খলার উন্নতি
মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী :
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের তৎপরতায় আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই থানাটি নানা প্রতিকূলতা , অবকাঠামোগত জীর্ণতা কাঠিয়ে আজ মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান ২০১৫ ইং সালের ১লা মে ঝিনাইগাতী থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি ওসির দায়িত্ব সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করে আসছেন। গত ২০মাসের মধ্যেই তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপ, জুয়া, মাদক সহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করেছেন। এমনকি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তিনি সমাজ থেকে মাদক নির্মূলের জন্য “মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা” করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি মাদক ও জুয়া মামলায় রেকর্ড সংখ্যক আসামী গ্রেফতার করেছেন। সেই সাথে তার অধীনস্থ সকল কর্মকর্তাদের কাজের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন সহ কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ, উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন তিনি। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সাথে দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর মধুপুরের ধনবাড়ী থানায় দায়িত্ব পালনের পর ১লা মে ২০১৫ ইং তারিখে ঝিনাইগাতী থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে শেরপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনির দিক নির্দেশনায় এক সময়ের অপরাধ জোন হিসেবে পরিচিত ঝিনাইগাতী থানা থেকে সকল প্রকার অপরাধ নির্মূলের জন্য দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ঝিনাইগাতী থানায় যোগদানের পর কমিউনিটি পুলিশিং এর উপর জোড়দার, গ্রাম পুলিশদের আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে আরো কার্যকর ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ দিক নির্দেশনা প্রদান, এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জুয়া খেলা বন্ধের লক্ষ্যে অপরাধ দমন সভা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, চুরি, ছিনতাই সহ সম্পত্তি সংক্রান্তে অপরাধ দমনের লক্ষ্যে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময়, বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে নামাযের পরে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে সমাজ থেকে মাদক নিয়ন্ত্রন, জুয়া বন্ধ, ইভটিজিং রোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, নারী নির্যাতন বন্ধ, জঙ্গী তৎপরতা রোধ সম্পর্কে আলোচনা, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল এর উপর অভিযান অব্যাহত, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের হার বৃদ্ধি ও নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতার অব্যাহত, বন সম্পদ রক্ষার জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় রেখে নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন, মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ধূমপান, মাদক, বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং এর কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক বক্তব্য প্রদান করে আসছে। সর্বোপরি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যাপক উদ্যমে সকল অফিসার ফোর্সদের সমন্বয়ে বিশেষ টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়াও ওসি মিজানুর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সদের নিয়ে শেরপুর গারো পাহাড়ের আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রে ছিনতাই রোধে নিয়মিত টহল দেন। ওসি মিজানের এমন কার্যক্রম সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার এ,কে,এম ফজলুল হক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।