জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬১ জেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

জাতীয় ডেস্ক:জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।বেলা ২টা পর্যন্ত টানা এ ভোটগ্রহণ চলবে। প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর (ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই কেবল ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান এবং ২০ জন সদস্য নির্বাচিত করবেন। অবশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩টি জেলা (বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি) এ নির্বাচনের বাইরে রয়েছে।
এদিকে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ইতোমধ্যে ২১টি জেলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ভোলা ও ফেনী জেলায় চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ দুই জেলায় কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বাকি ১৯ টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন না হলেও সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদে সবমিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ৩ হাজার ৯৩৮জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৪৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৩৪৩জন এবং মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৮০০জন। ভোটকেন্দ্র ৯১৫টি ও ভোটকক্ষ ১ হাজার ৮৩০টি। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
২০০০ সালে আইন প্রণয়ন হলেও ১৬ বছর পর হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন। অপরদিকে এটাই হতে যাচ্ছে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসির শেষ নির্বাচন।
সরাসির ভোটাধিকার না থাকায় এবং আওয়ামী লীগ ব্যতিত অন্যে কোন রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় সাধারণ জনগণের এ নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ নেই। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এতে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জেলায় কিছুটা উত্তাপ রয়েছে।
এই নির্বাচনকে ‘তামাশার নির্বাচন’ এবং জনগণের ‘ইচ্ছার প্রতিফলন নেই’ বলে বিএনপির নেতারা মন্তব্য করেছেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ একে আইয়ুব খানের ‘বেসিক ডেমোক্রেসি’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন।
এদিকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচনে গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নির্বাচনের বিষয়ে মঙ্গলবার ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচনে আমরা ব্যতিক্রমী কিছু সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ভোটকেন্দ্রে মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, যার মাধ্যমে ব্যালট পেপার স্ক্যান করা যায়, এমন কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, ‘এমন একটা আশঙ্কা আছে যে, ভোটদানের গোপনীয়তা ভঙ্গ হতে পারে। কেউ হয়তো প্রমাণের জন্য ব্যালট পেপারের চিহ্ন মোবাইলে ছবি ধারণ করতে পারেন। এ জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না।
নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের পাহারায় রয়েছেন ২০জন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, ব্যাটালিয়ান আনসার ও আনসার ভিডিপির সদস্য। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে বিজিবি ও র্যাব। এছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ১টি মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং র্যাবের ১টি করে মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। মোবাইল ফোর্সের একটি দল ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় নিবিড় টহল দেবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য এক প্লাটুন বিজিবি বা কোস্টগার্ড থাকবে। নির্বাচনে প্রতিটি জেলায় সর্বনিম্ন এক প্লাটুন থেকে সর্বোচ্চ ১২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Share on Skype (Opens in new window)
- Click to share on Google+ (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to email this to a friend (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)